Wednesday, 22 April 2015

বাংলাদেশের সবচেয়ে বিপদজনক চুড়া 'যোগী' সামিট প্রমাণের ১০টি উপায়।(১ম পর্ব )


 
বাংলাদেশের এ পর্যন্ত অভিযান হয়েছে এমন পাহাড়গুলোর মাঝে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ঝুকিপূর্ণ চুড়া যোগী হাফং। মায়ানমার সীমান্তে অবস্হিত মদক রেঞ্জের আরো উচু উচু চুড়া আছে । দেশের সবচেয়ে উচু চুড়া মদক তং বা সাকাহাফং ও এই এলাকাতেই অবস্হিত । আর সবচেয়ে কঠিন ও কষ্ট সাধ্য জ- ত্লং ( ২য় সর্বোচ্চ) এর খুব কাছেই অবস্হিত । কিন্তু এই যোগী হা ফং বা যোগী পাহাড়টাই আরোহণের দিক থেকে সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ বা বিপজ্জনক । ( উপরে ছবিতে যোগী/ কনদুক দেখা যাচ্ছে লোহ ঝিরি থেকে ) 

যোগী পাহাড়ে ২০১৪-১৫ তে বেশ কিছু অভিযান হয়েছে । চুড়া হিসেবে এর বিশেষ সুনাম থাকায় ট্রেকারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় এই যোগী । বাংলাদেশের তরুণ ও সম্ভবনাময়ী পর্বতারোহী সালেহীন আরশাদী বিষয়টি প্রায় ছয়টির মত চুড়া লোকেট করেছেন । অসুবিধা হচ্ছে যোগীতে অনেকগুলো সাব সামিট রয়েছে , যেগুলোতে গিয়ে অনেকেই বুঝতে পারেন না মুল সামিটে গিয়েছেন কিনা । আর গাইড বাবাজীরাও অনেককে গূগল - ভূগল বুঝিয়ে সামিটে না পৌছিয়েই সামিট দাবী করে বসে । 

১। মেইন সামিট থেকে কংদুক বা যোগীর ২য় ও ৩য় সামিট দেখা যাবে, অপেক্ষাকৃত নীচু ও স্পষ্ট । 
মেইন সামিট থেকে পাওয়া ভিউ। 
 
মেইন সামিট থেকে চিন্হিত সাব সামিটগুলো দেখা যায় । 

২। মেইন সামিটের ৫/৬ হাত দূরে ৪/৫ হাত নীচু একটা জায়গা দেখা যাব। কাছাকাছি এরকম একটা জায়গা যোগীর অন্য সামিটগুলোতে নেই । মহান অভিযাত্রী মুগ্ধ এখানেই দাড়িয়েছিল আর মাইনুল তার ছবি উঠিয়েছিল। 
বাংলাট্রেক থেকে পাওয়া মুগ্ধর ছবি 


 

৩। জ-ত্লং আয়ান ক্লা্যাং এর ওয়েষ্ট ফেস অর্ধেকটাই যোগী ম্যাসিফ দিয়ে ঢাকা পরবে । জ -ত্লং এর পশ্চিমের পুরা ঢাল দেখা যাবে না । ২৮০০-২৯০০ ফুটে পুরা ঢালটা সামনে থাকে । ৩১০০ ফুট সামিটে প্রায় পুরাটাই দেখা যায়, কিছুটা ঢাকা থাকে, মেইন সামিটে এমন নয় । 

 
ছবিটি ২৯০০ -৩০০০ ফুট উচু থেকে তোলা । আয়্যান এবং জ-ত্লং এর পশ্চিম পাশ পুরাটাই দেখা যাচ্ছে এখানে। 

 
উপরেরে ছবিতে দেখা যাচ্ছে জ-ত্লং এবংআয়্যান ক্ল্যাং অনেকটাই ঢাকা পরে গেছে যোগী ম্যাসিফের আড়ালে। 

৪। ৩০০ ডিগ্রী একটা খোলা ভিউ পাওয়া যাবে । প্রথম অভিযাত্রী দল ৩৬০ ডিগ্রী ভিউ পাওয়ার কথা জানায় , এখন একটা সাইডে প্রায় ৬০ ডিগ্রীর মত ঢেকে গেছে বাশ আর গাছে। এখান থেকে জ-ত্লং এর ছবি তুললে কোন বাশ/গাছ ফ্রেমে আসবে না । ৩১০০ ফুটের ২য় /৩য় সামিট থেকে ছবি তুললে বাশ/গাছ ফ্রেমে এসে পরবে । 

 
মেইন সামিটের আগে একটা সাব সামিট থেকে পাওয়া ভিউ ।বেশ কিছু বাশ দেখা যাচ্ছে । 

 
মেই সামিট থেকে পাওয়া ভিউ । ছবির ফ্রেমে জ্ত্লং একদম খোলামেলা । কোন ডাল পালা বাশ ঝাড় এসব আসেনি ছবির ফ্রেমে । 

৫। সামিট মাত্র দুই হাত একটা জায়গা ( লম্বা ও চওড়ায় ) পাশাপাশি দুই জন দাড়ালে গায়ে গায়ে লাগা লাগি হয়ে যাবে ! অন্য সামিট গুলো এরকম না ! 

৬। যোগী ম্যাসিফের ইষ্ট ফেস বেশ খানিকটা দেখা যাবে ! আর কোন সাব-সামিটে এটা সম্ভব নয় । 
 

৭। আয়ান ক্ল্যাং এর ও ইষ্ট ফেসের ঢালটা দেখা যাবে । ২৮০০ -৩০০০ ফুট পর্যন্ত আয়ানের শুধু নর্থ রিজটা দেখা যায় । ৩১০০ ফুটে গিয়ে নর্থ রিজ আর ইস্ট ফেস লাগালাগি ভাবে দেখা যায় । কিন্তু ৩২০০ ফুটের বেশী মেইন সামিটে গেলে নর্থের রিজ লাইনটা একদম বরাবর এসে যায় । 
 

৮। আয়ান ক্লাং ও কনদুক এর কানেকটিং রিজটার ইষ্ট ফেস দেখা যাবে । 


1 comment:

  1. Best eCOGRA Sportsbook Review & Welcome Bonus 2021 - CA
    Looking for an 토토 사이트 eCOGRA Sportsbook Bonus? At this eCOGRA Sportsbook review, herzamanindir.com/ we're talking about a https://deccasino.com/review/merit-casino/ variety of ECCOGRA sportsbook worrione.com promotions. 나비효과

    ReplyDelete